লেখকের কথা
আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থার আলােকে ভেন্টেজ ন্যাচারাল হেলথ ক্লিনিকে একটি বিকল্প ও প্রকৃতিনির্ভর এবং সম্পূর্ণ বিজ্ঞান (ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ও ম্যাথমেটিক্স) ভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে বিভিন্ন রােগে আক্রান্ত রােগীদের সেবা দিচ্ছি। এর বিশেষ কয়েকটি কারণ রয়েছে। বিষয়গুলাে আপনাদের একটু জানানাে প্রয়ােজন। মূলত আমি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান নিজ দেহে এবং পরে তা আমার ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রােগীদের দেহে প্রয়ােগের পর যে চমৎকার ফলাফল পেয়েছি, সে অনুযায়ী বিভিন্ন খাবার তৈরি, প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদান ও খাওয়ার নিয়ম এবং ব্যয়ামের পদ্ধতি এ বইয়ে উপস্থাপন করেছি। | এখানে যেসব খাবারের কথা বলা হয়েছে সেগুলাের উৎস অবশ্যই হতে হবে অর্গানিক বা প্রাকৃতিক । কেমিক্যাল, কৃত্রিম সার বা কীটনাশক দিয়ে উৎপাদিত কোনাে উপাদান দিয়ে খাবার প্রস্তুত করা যাবে না। আমি দীর্ঘ দিন দেশের বাইরে বসবাস করাই দেশীয় খাবার বা শাক-সবজির নাম খুব বেশি উল্লেখ করতে পারিনি। আমার উল্লিখিত বিদেশী শাক-সবজিই সংগ্রহ করতে হবে বিষয়টি এমন নয়। বাংলাদেশে প্রাকৃতিক উপায়ে চাষকৃত উপকরণও আপনারা ব্যবহার করতে পারেন ।
থাইল্যান্ডসহ ইউরােপ ও আমেরিকা অঞ্চলে অর্গানিক পদ্ধতি বলতে শুধু কেমিক্যাল ছাড়া উৎপাদন বােঝায় না। অর্গানিক পদ্ধতির একটি আন্তর্জাতিক বিশেষ মান রয়েছে, সে অনুযায়ী তারা অর্গানিক খাদ্য উৎপাদন করে । কিন্তু বাংলাদেশে সেরকম অর্গানিক মান বজায় রাখা হয় কি না, সে ব্যাপারে আমার ধারণা নেই । সেজন্য দেশে উৎপাদিত পণ্যে অর্গানিক লেখা থাকলে সেসম্পর্কে ভালাে করে জেনে নেয়া উচিত।
২০১৭ সাল থেকে শুভাকাঙ্ক্ষীদের পরামর্শে আমার ফেসবুক পেজে ওষুধ ছাড়া রােগ নিরাময়সম্পর্কিত পােস্ট লেখা শুরু করি। কিন্তু প্রায় ৩৯ বছর ধরে দেশের বাইরে বসবাস করায় বাংলা লেখার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সে কারণে পােস্টগুলাে ইংরেজিতে লিখতে হয়েছে। এই পোেস্টগুলাে একত্রিত করে ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে How to Fix Diseases Naturally : Recommendations for Healthy Lifestyle and Food Habits নামে একটি বই প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে বইটির অনেক পাঠক এবং আমার ফেসবুক পেজের ফলােয়াররা বাংলায় একটি বই প্রকাশের পরামর্শ দেন। প্রাকৃতিক উপায়ে রােগ নিরাময় : স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনের পরামর্শ বইটি মূলত: ইংরেজি বইটির বাংলা অনুবাদ, তবে এর সাথে কিছু নতুন রেসিপি যােগ করা হয়েছে।
বিশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি মীম ওয়ালিউল্লাহকে । ইংরেজি বইটি প্রকাশে তিনি খুব উৎসাহ যুগিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়; বইটি কম্পাইল্ড করে প্রকাশেরও ব্যবস্থা করেন তিনি। শত ব্যস্ততার মধ্যে এই বইটি অনুবাদ করেছেন ধ্রুব ইসলাম। তবে বইটি অনুবাদের পর আমি সম্পাদনা করেছি ।
১৯৯৩ সালে মেডিক্যাল এ্যাকটিস বাদ দিয়ে রাশিয়ায় নিজের ব্র্যান্ড নিয়ে ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসা শুরু করি। ব্যবসার সাথে জড়িয়ে দিন যত যায়, ব্যবসায়িক পরিমণ্ডলে উন্নতি ততটাই আমার কাছে ধরা দিতে থাকে । খুব অল্প সময়েই রাশিয়ায় একজন সফল ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হই । কালনিনি গ্রাদে সম্পূর্ণ অটোমেটিক ফ্যাক্টরি এখনাে রয়েছে। রাশিয়ার প্রতিটি ডিস্ট্রিক্টে আমার নিজস্ব অফিস ও শােরুম ছিল । রাশিয়ার নেটিভরা বিশেষ করে বাংলা ভাষাভাষী লােকজন আমাকে একজন ব্যবসায়ী হিসেবে জানতেন । ব্যবসাসংক্রান্ত অতিরিক্ত মানসিক চাপ এবং ধারাবাহিকভাবে অনিয়ন্ত্রিত।
মানুষ ও প্রকৃতি
প্রকৃতির সাথে মানুষের সম্পর্ক আদি ও চিরন্তন। প্রকৃতি থেকেই মানুষ তার প্রয়ােজনীয় বিষয়াদি সংগ্রহ করে। এজন্য প্রকৃতি ও
পরবিশের প্রতি মানুষকে অবশ্যই যত্নবান হতে হবে। কারণ প্রকৃতির সাথে মানুষের অস্তিত্ব অত্যন্ত নিবিড় এবং এক সুতায় বাঁধা । প্রকৃতির যেকোনাে প্রভাব মনুষ্য সমাজকেও প্রভাবিত করে। তাই প্রকৃতির যেকোনাে একটি উপাদান ক্ষতিগ্রস্ত হলে পুরাে প্রকৃতির উপর এর প্রভাব পড়বে।
প্রকৃতির সবচেয়ে বড় উপাদান মানুষ । অথচ মানুষের দ্বারাই প্রকৃতি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানুষ তার ভােগ বিলাসের সামগ্রী হিসেবে প্রকৃতির উপাদানগুলােকে ব্যবহার করছে এবং ক্রমশই তাকে ক্ষীণ ও দুর্বল করে ফেলছে। আমরা জানি যে মানুষ, প্রাণী, গাছপালা, বায়ু, পানি ও মাটি আমাদের পরিবেশের অন্যতম উপাদান। আর যেসব উপাদান নিয়ে আমাদের পরিবেশ গঠিত হয়েছে তার প্রত্যেকটি উপাদান একে অন্যের সাথে ওতপ্রােতভাবে জড়িত। নিজেদের প্রয়ােজনে আমরা প্রকৃতি থেকে নানা উপাদান সংগ্রহ করলেও প্রকৃতির প্রয়ােজন পূরণ করতে পারি না । আমরা কি কখনাে শুনেছি বা দেখেছি, হুবহু মানুষের কোনাে অঙ্গ কেউ সৃষ্টি করেছে যা সৃষ্টিকর্তার দেয়া অঙ্গের মতাে কাজ করে! হ্যা, আমরা এগুলাে পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করতে পারি, কিন্তু একেবারে প্রকৃতি থেকে পাওয়া জিনিসটির মতাে তৈরি করতে পারি না। এরপরও মানুষ প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্ধে কর্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। এ আমার নিজস্ব মতাতম। অনেকেই এরসাথে একমত নাও হতে পারেন, সেটা তার দৃষ্টিভঙ্গি। তবে একটি অনুরােধ, প্রকৃতিবিরুদ্ধ হওয়া যাবে না, প্রাকৃতিক নিয়মকেই অনুসরণের চেষ্টা করতে হবে ।
সচেতন হােন সুস্থ থাকুন
জন্মের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষকে সামাজিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হয়। এই দুই প্রকার পরিবেশই মূলত মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে । স্বাস্থ্য সচেতনতা বলতে সাধারণত বুঝায় অভ্যাসের ধরন, যার দ্বারা আমরা শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ-স্বাভাবিক অথবা অসুস্থ ও অস্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারি । স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য সকল নাগরিকের স্বাস্থ্য সচেতনতা দরকার । স্বাস্থ্য সচেতনতার কয়েকটি ভাগ রয়েছে। যেমন : দৈনন্দিন কাজকর্মে সচেতনতা, খাদ্যাভাসে সচেতনতা ও চিকিৎসা নেয়ার ক্ষেত্রে সচেতনতা । তবে সবরকম সচেতনতায় প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক নিয়মকে প্রাধান্য দিতে হবে। কারণ মানবদেহ সুস্থ রাখতে বা সুস্থ করে তুলতে (ইমার্জেন্সি ব্যতীত) প্রয়ােজনীয় উপাদান প্রকৃতিতে রয়েছে। শুধু এর জ্ঞান। প্রয়ােজন।
সুস্থভাবে বাঁচতে আমাদেরকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, সৃষ্টিকর্তার দেয়া বিপুল প্রকৃতির সহযােগিতা গ্রহণ করব নাকি সারা জীবন প্রচলিত চিকিৎসাব্যবস্থা অনুযায়ী ওষুধের উপর নির্ভর করব । মানুষের ৪০ বছর বয়স পার হলেই বিভিন্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। কেননা দেহ থেকে প্রাকৃতিকভাবে বিষাক্ত উপাদান বা বর্জ্য অপসারণ প্রক্রিয়া এবং নানারকম হরমনের ভারসাম্য ক্ষমতা কমতে থাকে। এ অবস্থায় দেহের ভারসাম্য প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে প্রাকৃতিক নিয়ম অনুসরণ জরুরি। আর যদি জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন না আনেন, তাহলে অবশ্যই ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, ইউরিক অ্যাসিড সমস্যা, হৃদরােগ, ক্যান্সার, সােরিয়াসিস, কোলেস্টেরল সমস্যাসহ ৬০ ধরনের ডিজেনারেটিভ অসুখের যেকোনাে একটি বা একইসাথে কয়েকটি রােগে আক্রান্ত হবেন। তবে এগুলাে থেকেও পরিত্রাণের উপায় আছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আপনার সদিচ্ছা ও পরিকল্পনা এবং একটু পরিশ্রম প্রয়ােজন।
আমরা কেন অসুস্থ হই
অস্বাস্থ্যকর খাদ্য (Unhealthy food) ও পরিপাক বা হজমে সমস্যা (Poor digestion) ও শারীরিক ও মানসিক চাপ (Physical & emotional stress)
বিভিন্ন দূষণকারী (Pollutants) প্রসাধন ও গৃহস্থালিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক (Cosmetics & household chemicals)
কৃষি কাজে ব্যহৃত রাসায়নিক (Agricultural chemicals)
মাইক্রোফরম এর অতিরিক্ত বৃদ্ধি (জীবাণু, ছত্রাক, ইস্ট, মােল্ড) (Microform overgrowth) –
দেহাভ্যন্তরে অ্যাসিডিটি (Acidity of body fluids)
পুষ্টি শােষণের ক্ষমতা কমে যাওয়া (Decreased nutrition absorption)
দেহে অক্সিজেন সঞ্চালন কমে যাওয়া (Decreased oxygen utilization)
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট স্বল্পতা (Decreased anti-oxidant buffering)
রক্তে ফ্রিডিক্যাল বৃদ্ধি (Increased free radicals)
মাইটোক্রন্ড্রিয়া এর কার্যকারিতায় সমস্যা (শক্তি উৎপাদনের প্রক্রিয়া) (Mitochondrial decay)
শক্তি উৎপাদন স্বল্পতা (Decreased energy production) ও বিভিন্ন রকম রােগ ও বয়স বৃদ্ধি (Aging & Degenerative Diseases)
সুশৃঙ্খল জীবনযাপনের বিকল্প নেই
সুস্থভাবে এবং ওষুধ ছাড়া বেঁচে থাকতে হলে সুশৃঙ্খল জীবনযাপনের বিকল্প নেই । নিয়ম মেনে খাওয়া, খাবার নিয়ন্ত্রণ করা, পানি পান করা, ব্যায়াম করা এবং এগুলাের সমন্বয় করলে জীবন হবে সুরক্ষিত। প্রথমেই আপনি নিজেকে নিয়মানুবর্তী করে গড়ে তুলুন । আপনাকেই আপনার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে যত্নশীল হতে হবে ।
প্রতিদিন ব্যায়াম করুন এবং ভার উত্তোলন করুন । নিয়ম মেনে হাঁটুন বা দৌড়াতে পারেন। এক্ষেত্রে হাইলি ইনটেনসিটি ইন্টারভাল ট্রেনিং (এইচআইআইটি) খুব কার্যকর। এটি সম্পন্ন করতে মাত্র ১৮ মিনিট সময় লাগে কিন্তু এর কার্যকারিতা এক ঘণ্টার সমান । প্রতিদিন এক নাগাড়ে ৩ ঘণ্টার কম। সময় বসে থাকবেন । কাজের ফাঁকে দাঁড়াবেন, হাঁটাহাঁটি করুন বা চেয়ারে অথবা বিছনায় শরীর একটু এলিয়ে দিন। প্রয়ােজনে জরুরি কিছু ভিটামিন ও মিনারেল নিতে পারেন। যেমন : ভিটামিন ডি৩, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও আয়ােডিন। দেহের বর্জ্য অপসারণ করতে প্রতিদিন কমপক্ষে তিন লিটার অ্যালক্যালাইন পানি পান করতে হবে । সাদা ও পরিশােধিত শর্করা বাদ দিয়ে অর্গানিক সবুজ শাক-সবজি, লাল বা কালাে ফল, বিভিন্ন রকম বাদাম, বীজ, সামুদ্রিক সবজি ও চর্বি খাবেন । প্রক্রিয়াজাত খাবার, আর্টিফিশিয়াল ফ্লেভারযুক্ত খাবার, চিনিযুক্ত খাবার ও পানীয়, প্রক্রিয়াজাত গােস্ত, ফার্মে উৎপাদিত গােস্ত, ফার্মে উৎপাদিত ডিম ও মাছ খাওয়া পুরােপুরি বন্ধ করুন। কারণ ফার্মের প্রাণীগুলােকে জিএমও (জেনেটিক্যালি মডিফাইড অর্গানিজম) খাবার খাওয়ানাে হয়, যা মানবদেহর জন্য ভয়ঙ্কর রকম ক্ষতিকর। কোনাে অসুস্থতা থাকলে কেটোজেনিক ফুড প্ল্যান অনুসরণ করতে হবে । বিভিন্ন খাবারের সাথে হিমালয়া পিঙ্ক সল্ট প্রতিদিন অন্তত ১ চা চামচ গ্রহণ করুন। এ লবণে নানারকম মিনারেল রয়েছে, যা সাধারণ সামুদ্রিক লবণে নেই। এগুলাের পাশাপাশি নিয়মিত দেহ থেকে বর্জ্য অপসারণ খুবই জরুরি। কেননা প্রতিমুহূর্তে বিভিন্ন উপায়ে দেহে বিষাক্ত উপাদান ও কেমিক্যাল প্রবেশ করছে । মনে রাখবেন, প্রচলিত চিকিৎসাব্যবস্থা সম্পূর্ণ সুস্থতা দিতে পারে না। তবে শুধু জরুরি ও সাময়িক ক্ষেত্রে প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতির ভূমিকা অনস্বীকার্য।
ডা:মুজিবুর রহমান একজন মেডিক্যাল ডাক্তার ও কার্ডিওলজিস্ট। ১৯৬৪ সালে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার লক্ষ্মীবরদী গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৯ সালে মােমেনশাহী ক্যাডেট কলেজ থেকে এসএসসি পাশ করেন এবং সেসময় ঢাকা বাের্ডে তৃতীয় স্থান অধিকার করেন । ১৯৮১ সালে। মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি সম্পন্ন করার পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। ১৯৮২ সালে স্কলারশিপ নিয়ে রাশিয়া চলে যান লু’ভব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের জন্য। সেখানে সফলতার সাথে ১৯৮৭ সালে মেডিক্যাল কোর্স শেষে এক বছর ইন্টার্নশিপ করেন। দুই বছর ইন্টারনাল মেডিসিনে বিশেষ কোর্স করেছেন। এরপর কার্ডিওলােজির ওপর বিশেষ অধ্যায়ন করেছেন । ১৯৯৪ সালে মেডিক্যাল প্র্যাকটিস বাদ দিয়ে তিনি নিজের ব্র্যান্ড নিয়ে ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসা শুরু করেন। ২০১৪ সালে অসুস্থ হয়ে গেলে ব্যবসা থেকে আবার মেডিক্যাল প্র্যাকটিস এবং গবেষণায় মনােনিবেশ করেন । ওষুধ ছাড়া রােগ নিরাময়ের লক্ষ্যে ২০১৫ সালের এপ্রিলে আনুষ্ঠানিকভাবে থাইল্যান্ডের পাতাইয়ায় ভেন্টেজ ন্যাচারাল হেলথ ক্লিনিকের কার্যক্রম শুরু করেন। তার নতুন ও বিশেষ পদ্ধতিতে এ পর্যন্ত দুই শতাধিক রােগীর চিকিৎসা করেছেন। বিভিন্ন রােগে আক্রান্ত রােগীরা এ সেবা নিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন।